বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে, ভারত বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে গড়িমসি করছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, শুধু ফারাক্কা বাঁধ নয়, গঙ্গাসহ অন্যান্য নদীর পানি বণ্টন নিয়েও ভারত যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফখরুল বলেন, “তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে এই যুক্তি; করছি, এই হয়ে যাবে, এখন ভালো অবস্থা আছে, এই করে করে কিন্তু সরকার কাটিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ব্যর্থতার মূল কারণ হচ্ছে, যে সরকার এখন আছে, সেই সরকার পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার। তারা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রকৃত অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তারা তাদের (ভারতের) কাছে অত্যন্ত দুর্বল।”
ফখরুলের এই মন্তব্য ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় এসেছে। তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশকে যদি আমরা রক্ষা করতে চাই, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যদি আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই, বাংলাদেশের জনগণকে যদি আমরা রক্ষা করতে চাই, তার যে উন্নয়ন আকাক্সক্ষা, তার যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করার আকাক্সক্ষা তা যদি আমরা রক্ষা করতে চাই, তাহলে আজকে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে একত্র হয়ে এই ভয়াবহ দানবীয় যে সরকার, মনোস্টার যে সরকার- তাদেরকে সরাতে হবে।”
ফখরুলের এই বক্তব্য বাংলাদেশের অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জটিলতা এবং সরকারের ভূমিকার প্রতি সমালোচনার প্রতিফলন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদেরকে নিরপেক্ষ সরকার বলে, তাই ভারতের কাছে তিস্তার ন্যায্য পানি চাইতে হবে। দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন। জনগণ অনেক বছর ভোট দিতে পারেনি। তাই জনগণ চায় ভোট দিয়ে নিজের প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠিয়ে তাদের দ্বারা তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করাতে। অনেকে বলে, আমরা নাকি ভোট ভোট করি, ভোট হলে দেশে যে অস্থিতিশীলতা চলছে, তা বন্ধ হবে। জনগণ প্রতিনিধি পাবে তাদের কথা বলার’।
তিনি আরো বলেন, আমরা ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই, তবে ন্যায্য পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিতে হবে। সীমান্তে আমাদের নাগরিককে গুলি করে হত্যা বন্ধ করতে হবে।
উপস্থিত ব্যক্তিদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, লড়াই না করে কিছু পাওয়া যায় না, লড়াই করে আমাদেরগুলো অধিকার আদায় করবো, ন্যায্য পাওনা বুঝে নেবো।
তিনি বলেন, এখন নতুন লড়াই শুরু হয়েছে, সেটা হলো, বাঁচা-মরার লড়াই, স্বাধীনতার লড়াই। জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই।