মো.মোক্তার হোসেন বাবু: চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোটার বাড়লেও বাড়েনি ভোট কেন্দ্র। উল্টো ৬৪টি ভোটকেন্দ্র ও ১০৭৬টি ভোটকক্ষ কমছে। ভোটার বাড়লেও সেই তুলনায় ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ বাড়েনি। বরং কমেছে। এদিকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৬টি ভোটকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। আপত্তি নিষ্পত্তিতে শুনানির তারিখও নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৩ জন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া তালিকায় ভোটার সংখ্যা ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫১৭ জন। দুই বছরের কাছাকাছি সময়ে ভোটার সংখ্যা বাড়ছে তিন লাখ ৫৪ হাজারের বেশি।
এর আগে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ)। এর পরবর্তী সময়ে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে। ২০১৪ সালে দশম, ২০১৮ সালে একাদশ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। কোনটি একতরফা, দিনের ভোট রাতে ও সর্বশেষ আমি আর ডামি নির্বাচন হিসেবে পরিচিতি পায়। দেশ-বিদেশে এসব নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।
এদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার নির্বাচনব্যবস্থায় সংস্কার ও বাংলাদেশের ইতিহাসে মডেল নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর তিনটি নির্বাচন ছিল আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন। এসব নির্বাচনে দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষ ভোটবিমুখ হয়ে পড়েন। আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের মধ্যে ভোটপ্রদানের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে ভোটকেন্দ্র কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমদ বলেন, গত সরকার আমলে দলীয় প্রার্থীদের চাপে-মতামতের ভিত্তিতে কিছু ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এমনকি তাদের বাড়ির আশপাশেও ভোটকেন্দ্র বসানো হয়েছে। আমরা সরেজমিন তদন্ত করে দেখেছি, এসব ভোটকেন্দ্র রাখার প্রয়োজন নেই। তাই এসব অবাঞ্চিত কেন্দ্র বাদ দিয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নতুন ভোটারের মধ্যে তিন লাখের বেশি তরুণ ভোটার। আগামী নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছেন এসব ভোটাররা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনও আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমদ বলেন, ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়া তালিকার কয়েকটিতে আপত্তি পড়েছে। ৯ অক্টোবর আপত্তি-শুনানি শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন তালিকায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৯৫৯টি। ভোটকক্ষের সংখ্যা ১২ হাজার ৬৫৬টি। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ভোটকেন্দ্র ৬৪টি ও ভোটকক্ষ ১০৭৬টি কম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমদ আরো বলেন, নতুন নীতিমালায় ৬০০ জন পুরুষ ভোটারের জন্য একটি ও ৫০০ জন মহিলা ভোটারের জন্য একটি ভোটকক্ষ স্থাপন করতে হবে। সেই অনুযায়ী ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে,
মোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টি ভোটকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি তুলেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে আপত্তি দাখিল করেছেন। চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসন এবং চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতাকনিয়া আংশিক) নিয়ে কোনো আপত্তি না আসলেও অন্যান্য আসনগুলো নিয়ে আপত্তি আসে।
সূত্র জানায়, সবচেয়ে বেশি আপত্তি জমা পড়েছে চট্টগ্রাম-১২(পটিয়া) আসনে ১৮টি। এরপর চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর-পাহাড়তলী-খু