‘সরকার চালানোর লাইসেন্স আছে কি না মানুষ একদিন সেই বিচার করবে’

 

- Advertisement -

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, বিশিষ্ট কলাম লেখক আসিফ নজরুল বলেছেন, ট্রাক-বাসের লাইসেন্স শুধু না, সরকার চালানোর লাইসেন্স আছে কি না মানুষ একদিন সেই বিচার করবে।ইনশাল্লাহ্!

বুধবার (১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্য ফেসবুকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আইন বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন,মৃত্যুদন্ড চাই। রাজপথের ছাত্রছাত্রীদের বারবার আশ্বাস দিচ্ছে মন্ত্রীরা, দোষী ড্রাইভারের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে, তোমরা ফিরে যাও! সর্বোচ্চ শাস্তিটা কি ভাইজান? সর্বোচ্চ শাস্তি মাত্র তিন বছরের কারাদণ্ড। রাজপথে দু্-বাসে রেষারেষি করে মানুষ মেরে ফেলার শাস্তি এটা? ফাজলামো না? বেপরোয়াভাবে, লা্ইসেন্স ছাড়া, ফিটনেস বিহীন গাড়ী চালানো মানে হচ্ছে আপনার কন্সট্রাকটিভ নলেজ (অনুমিত জ্ঞান) আছে যে এরজন্য কারো মৃত্যু হতে পারে। কাজেই এই অপরাধের শাস্তি অবশ্যই মৃত্যুদন্ড করতে হবে।আগে আইনটা এভাবে পরিবর্তন করবেন- এই ওয়াদা করেন।

এরপর বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যে ওয়াদা ভঙ্গ করেছিলাম সেরকম কিছু হবে না। ‘রাজপথে অরাজকতা বন্ধ করার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম’ এরকম কখনো বলবেন না।মানুষের উপর খাড়া জুলুম করে, ধাপ্পা দিয়ে, আর কতোকাল?

তিনি আরো বলেন, আপনিও জানতেন না যে, আইন সবার জন্য সমান? সড়কে আইন লঙ্ঘন করে উল্টো পথে যাওয়ার সময় বুধবার দুপুরে শাহবাগের কাছে আটকে পড়েন তোফায়েল আহমেদ।

মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সচিবালয় থেকে বাড়িতে ফেরার পথে পৌনে ২টার দিকে শাহবাগ থেকে বাংলামোটরের দিকে যাচ্ছিল মন্ত্রীর গাড়ি।দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে গত কয়েক দিনের মতো এদিনও সেখানে অবস্থান নিয়ে ছিল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা করে না পেলে গাড়ি আটকে দিচ্ছিল এবং চাবি নিয়ে যাচ্ছিল।

এই সময় উল্টোপথে মন্ত্রীর পতাকাশোভিত গাড়ি দেখে তা আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা।সঙ্গে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান তোলে- ‘আইন সবার জন্য সমান’।

লেখাটি লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া।

সর্বশেষ