তৌহিদুর রহমান : চট্টগ্রাম বন্দরে ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছেন কাস্টম কর্মকর্তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার গোপন খবরের ভিত্তিতে কলম্বো থেকে এই সিগারেট জব্দ করা হয়। এর আগে এআইআর শাখা ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির দায়ে গত ৬ মে ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার শলাকা এবং ২৮ এপ্রিল ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির দায়ে ৭৫ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট আটক করেছিল। দুইটি চালানের বিপরীতে কারণ দর্শানো নোটিশসহ শুনানির জন্য চিঠি দেওয়া হলেও কোনো প্রতিনিধি আসেনি। তাই সিগারেটগুলো রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বাজেয়াপ্ত হলে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিক্রির চেষ্টা করার কথা জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিগারেট জব্দ করা প্রসঙ্গে এআইআর শাখার দায়িত্বে থাকা উপ-কমিশনার মো. নূর উদ্দিন মিলন বলেন, ঘোষিত পণ্য ‘পারসোনাল ইফেক্ট’র স্থলে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪০০ শলাকা নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে ডানহিল ২ লাখ ৮৮ হাজার শলাকা, থ্রিজিরোথ্রি ৩১ হাজার ৪০০ শলাকা ও ‘ইজি’ ২০ হাজার স্টিক পাওয়া গেছে। এসব সিগারেটের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৭ লাখ ২১ হাজার ৩০৯ টাকা। শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯০ টাকা। এসব সিগারেটের বাজার মূল্য ৫০ হাজার ৯১ লাখ টাকা। কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান জানান, কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চের (এআইআর) সক্রিয় প্রচেষ্টা ও কঠোর নজরদারিতে বন্দরের ইউ-ব্যাগেজের ৭ নম্বর শেডের সিগারেটগুলো আটক করা হয়। ‘এমভি ইএসএম সিরিমোনা’ জাহাজে গত ১৮ জুন হবিগঞ্জের ফিরোজ মিঞার ছেলে মিজানের ব্যক্তিগত ব্যবহৃত পণ্য ঘোষণার চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।