spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

গেজেটভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় অনুমোদন দেয়া চসিকের অনুকুলে ১০৪৬টি পদ স্কেল

spot_img

মো.মুক্তার হোসেন বাবু: নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নগরবাসীর ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে এ রাস্তা ২টির উন্নয়ন কাজে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যাবে। জাইকার অর্থায়নে এই সড়ক ২টির কাজ জানুয়ারি ২০১৮ সালে শুরু হয় এবং আগামী ১৯ মে ২০১৯ সালে শেষ হবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। এই সাময়িক দুর্ভোগের জন্য নগরবাসীকে ধৈর্য্য ধারণ করার আহ্ববান জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র। মেয়র আরো বলেন, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও পোর্ট কানেকটিং রোডের উভয় পার্শ্বে আরসিসি ড্রেন ও ফুটপাতের কাজ ইতোমধ্যে প্রায় শেষ হয়েছে। কাজের এই গতি অব্যাহত থাকলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই সড়ক ২টির উন্নয়ন কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হবে। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি নগরীর রাস্তা-ঘাট মেরামত কাজে নিয়োজিত প্যাচওয়ার্ক দ্রæত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তাগিদ দেন। গতকাল সোমবার সকালে নগর ভবন সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় শাখা প্রধানদের এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান ছিদ্দিকী স্ব-স্ব বিভাগের কর্মপরিধির বিষয়ে আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতারসহ তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সভায় কোরবানী বর্জ্য যথা সময়ে অপসারণ করে নগরের পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ রক্ষার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পরিচ্ছন্ন বিভাগসহ নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র।
সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি সায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিধি-বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই প্রতিষ্ঠান। ইচ্ছা করে কোন কিছু করা যায় না বিধায় সময় ক্ষেপন হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০৫ সালে প্রস্তাবিত জনবল কাঠামোর কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে গত ১৮ মার্চ ২০১৮ সালে অর্থমন্ত্রণালয় হইতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অনুকুলে ১০৪৬টি পদ স্কেল ভেটিংসহ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যা বর্তমানে গেজেটভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চসিক সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, ১৯৮৮ সালের অর্গানোগ্রামে ৩ হাজার ১৮০ পদ সংখ্যা ছিল। এর মধ্যে সচিবালয় বিভাগে ৩১১, হিসাব বিভাগে ৩৮, স্বাস্থ্য বিভাগে ৩৩৯, শিক্ষায় ৫১৯, প্রকৌশলে ৪৯৪, পরিচ্ছন্নতায় ১ হাজার ১৮১ ও রাজস্বে ২৯৮টি পদ ছিল। সেই ক্ষেত্রে বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৯ হাজার ১শত জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছে। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্পোরেশন থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ভালো অবস্থানে আছে। এ সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের পরিধি, ধরণ ও উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে কাজের গতি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ