ডেস্ক রিপোর্ট: ৫ দফা দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও ৯টি লক্ষ্য বাস্তবায়নে জোটবদ্ধ নির্বাচন, সৎ-যোগ্য ব্যক্তিদের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আইন প্রণয়ন-শাসনকাজ পরিচালনার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ার ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন দুই প্রবীণ রাজনীতিবিদ সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন। বিকল্পধারার সভাপতি প্রফেসর বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে তিনদলীয় জোট যুক্তফ্রন্টের সভাপতি ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামালকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক করে ইতিমধ্যে সে জাতীয় ঐক্যের ঘোষণাপত্র তৈরি করা হয়েছে। আজ বিকালে এই দুই নেতা জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা দেবেন।
যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের এই জাতীয় ঐক্যে প্রাথমিকভাবে দলের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে চার। তবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা ছাড়া এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল, সামাজিক শক্তি ও নাগরিক সমাজ এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। জাতীয় ঐক্য জনগণকে সুসংগঠিত করে অভিন্ন দাবি আদায় ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে শান্তিপূর্ণ এবং অহিংস গণআন্দোলন গড়ে তুলবে।
যুক্তফ্রন্টের নেতারা বলছেন, বর্তমানে একটি জনসমর্থনহীন, অনির্বাচিত সরকার দেশ শাসন করছে। সন্ত্রাস, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশ প্রশাসন ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার।
জনসমর্থন নিয়ে কেউ যাতে ক্ষমতায় না আসতে পারে, সে জন্য তারা কেড়ে নিয়েছে জনগণের অবাধ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অধিকারসহ গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার। আগামী নির্বাচনে যেকোনো ভাবে জয়লাভের জন্য ইভিএম পদ্ধতি প্রবর্তন, ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ অবলম্বন করছে একের পর এক ক্টূকৌশল। সন্ত্রাস, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্বিচারে জেল-জুলুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকারসহ, মৌলিক, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রসমাজের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন পুলিশ ও সরকারি নামধারী ছাত্রসংগঠন অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে দমনে লিপ্ত হয়েছে। যুক্তফ্রন্ট নেতারা বলছেন, দেশে বর্তমানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই।
ভিন্নমতের কাউকে নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হয় না। রাষ্ট্রের আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগসহ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বেচ্ছাচারী নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কেড়ে নেয়া হয়েছে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। যুক্তফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে দেশ, জাতি ও জনগণকে মুক্ত করে রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বত্র কার্যকর গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার কোনো বিকল্প নেই।