বিএনপির সাথে বৈঠকে বসেছে ইইউ প্রতিনিধি দল

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র নেতাদের সাথে গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই বৈঠক শুরু হয়।

বিএনপির নেতাদের সাথে বৈঠকে বসার আগে ইইউ প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বৈঠক করেছে। তবে ওই বৈঠকের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি প্রতিনিধি দল।

এরআগে গত ২৬ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইইউ সংসদীয় প্রতিনিধি দল বলেছিল, বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যথেষ্ট গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে বলে মনে করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সংসদীয় প্রতিনিধিদল। তাদের মতে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে সহিংসতার আশঙ্কা নেই। এ কারণে এবারের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না ইইউ।

প্রতিনিধি দলের সদস্য ব্রিটেনের এমপি রুপার্ট ম্যাথুস বলেন, নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সাথে আমরা আলাপ করে জেনেছি, বাংলাদেশ ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের সমতা অর্জন করেছে। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি, আসন্ন নির্বাচনে কোনো সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপে এবং অংশগ্রহণমূলক হবে। সবার সাথে আলাপ করেই আমরা এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি।

তিনি বলেন, ইইউ থেকে সাধারণত সেসব দেশেই পর্যবেক পাঠানো হয়, যেখানে নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা, ভোট কারচুপিসহ বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কা থাকে। ইইউ বিশ্বাস করে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নিরপে এবং অংশগ্রহণমূলক হবে। এ জন্য ইইউ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক দল পাঠাচ্ছে না।
রুপার্ট ম্যাথুস বলেন, বাংলাদেশ খুবই চমৎকার একটি দেশ। দেশটি এখন শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক খাতে উন্নয়নের পাশাপাশি নারীর মতায়নে অভূতপূর্ব উন্নীতি করেছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের এই ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা প্রয়োজন। এতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিয়ে যে নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে, তা কেটে যাবে।

ছয় সদস্যের ইইউর সংসদীয় দলটি গত শনিবার ঢাকা এসে পৌঁছায়। এরপর তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে তারা বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানান।

সর্বশেষ