spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

ঢাবি ছাত্রীকে গণধর্ষণ: ডাকসু ভিপির ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ডাকসু ভিপি ‍নুরুল হক নুর।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ চলাকালে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা থেকে নুর এ আলটিমেটাম দেন। এ ঘটনায় সরকার ও পুলিশকে দায়ী করে ভিপি নুর বলেন, সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না। তারা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

আগের ঘটনা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের এই শীর্ষ নেতা বলেন, যেকোনো অপরাধ বা ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর দেশব্যাপী আন্দোলন না হওয়া পর্যন্ত সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয় না। আমরা আশা করি সরকার এই ঘটনায় একই নিয়ম অনুসরণ করবে না এবং অপরাধীদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের পাশবিক ঘটনা ঘটাতে সাহস না করে।

সমাবেশে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আক্তার হোসেন, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, ফারুক হোসেন, শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদের ভিপি এস কে তাসনিম আফরোজ ইমি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর কুর্মিটোলায় বান্ধবীর বাসায় যেতে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। বাস থেকে কুর্মিটোলা এলাকায় নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন তার মুখ চেপে ধরে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে চেতনা ফেরার পর তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বান্ধবীর বাসায় যান। বান্ধবীকে ঘটনা জানান। এরপর সহপাঠীরা তাকে আবাসিক হলে নিয়ে আসেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়।

রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক হাসপাতালে তাকে যান। তারা নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাহান গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ ঘটনাটি জেনেছে। ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পুলিশ হাসপাতালে গেছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই ছাত্রী বিবিসিকে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য একসঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা এলাকায় বাস থেকে নামেন। সেখান থেকে অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

নির্যাতনের একপর্যায়ে জ্ঞান ফিরে পান ওই ছাত্রী। পরে পাশবিক নির্যাতনে আবারও জ্ঞান হারান। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। তিনি তার বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্যাম্পাসে যান। পরে তার বন্ধুরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।  সূত্র:: যুগান্তর

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ