spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

“পিবিআই, অভিযানে শিশু ভিক্ষাবৃত্তির অপরাধে জড়িত মহিলা আসামী গ্রেফতার

spot_img

মো.রাশেদ ::

- Advertisement -

পলিথিনের ছ্যাকায় পা পুড়িয়ে ১১ বছরের শিশু কন্যাকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন মা। কখনো কখনো বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজে লাগিয়ে গৃহকর্তার বিরুদ্ধে নির্যাতন কিংবা অপহরণের মিথ্যা মামলা করে টাকা হাতানোর ফাঁদ পাততেন।

রবিবার নগরের পাঁচলাইশ মডেল থানার বদনাশাহ মাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হোসনে আরা বেগম (৩৮) নামে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগাম পিবিআই এর নগর শাখার চৌকশ টিম। উক্ত টিমের নেত্রীত্বে ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক মোছাম্মত মর্জিনা আক্তার (মর্জু), সাথে ছিলেন পিবিআই এর আরেক চৌকশ অফিসার এ এস আই মোহাম্মদ দিদারুল আলমসহ  আরো কয়েকজন পিবিআই এর কর্মকর্তা।

গ্রেপ্তার হোসনে আরা বেগম রাঙ্গামাটির মৃত আব্দুল খালেক ভূঁইয়ার মেয়ে।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা  বলেন, হোসনে আরা বেগম তার শিশু কন্যার পায়ে পলিথিন দিয়ে তার পা পুঁড়ে দিত। পোঁড়া পা দেখিয়ে বদনাশাহ মাজারের সামনে মানুষের কাছ থেকে ভিক্ষা করে টাকা সংগ্রহ করত মেয়ে। ভিক্ষার টাকায় ছক্কা খেলত মা হোসনে আরা বেগম।

ভিকটিমের ছোট ভাই দুর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে ফেললে তখন রাশেদ ও লিমু তার মাকে আর্থিক সহায়তা করে। পরে রাশেদ ও লিমুর বাসায় ভিকটিমকে গৃহকর্মী হিসেবে কাজে দেওয়া হয়। অথচ ভিকটিমের মা হোসনে আরা বেগম লিমু ও রাশেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ মামলা দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ভিকটিমকে বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে পরবর্তীতে গৃহের মালিকদের অহেতুক হয়রানি করে টাকা আদায়ের জন্য মিথ্যা মামলা দিতেন হোসনে আরা।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা  আরো বলেন, গ্রেপ্তার হোসনে আরা বেগম একজন ধূর্ত প্রকৃতির মহিলা। সে নিজের মেয়েকে দিয়ে ভিক্ষা করিয়ে ওই টাকায় জুয়া খেলতো। সে তার মেয়েকে অপহরণ করার নামে গত বছরের এপ্রিলের শেষদিকে রাশেদ ও লিমু নামে দুইজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দেয়। যা পরে তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এক কথায় সে অহেতুক হয়রানি করে টাকা আদায়ের জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করতো। গ্রেপ্তার করে হোসনে আরা বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ