রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ আশপাশে অভিযান ‘ব্লক রেইড’ চালিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় এ অভিযান শুরু হয়। রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ডিএমপির গুলশান বিভাগ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও রিজার্ভ পুলিশের প্রায় এক হাজার সদস্য কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় জড়ো হন।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত-কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত কমিশনার ডিবি আবদুল বাতেন, যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মুস্তাক আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা পুলিশ সদস্যদের ব্রিফ করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অভিযান শুরু করেন।
অভিযানের আগেই ঘটনাস্থলে আনা হয় পুলিশের বিশেষ সাঁজোয়া যান, কমান্ডিং কারসহ অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি।
গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল আহাদ যুগান্তরকে বলেন, ভাটারা থানা এলাকার বিভিন্ন বাসা ও মেসে ব্লক রেইড শুরু হয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপি পুলিশ নিয়মিতই এ ধরনের অভিযান চালায়।
পুলিশ জানায়, এ এলাকায় তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এ এলাকায় মেস ভাড়া করে থাকেন। তাদের মধ্যে ছদ্মবেশে কিছু দুর্বৃত্ত এ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে তারা রাজপথে নেমে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলা করে।
সর্বশেষ সোমবার নিরাপদ সড়কের দাবিতে নামা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ওই সব দুবৃর্ত্ত সড়কে নেমে ব্যাপক ভাংচুর ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই পুলিশ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, রোববার ও সোমবার বসুন্ধরা আবাসিকসহ আশপাশ এলাকায় সন্দেহভাজন অনেকেই আন্দোলনের নামে মাঠে নেমে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। হামলা করেছে পুলিশের ওপর।
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যে এ এলাকায় জামায়াত-শিবিরসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তারা ভবিষ্যতে বড় ধরনের নাশকতা চালাতে পারে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।