মো.মুক্তার হোসেন বাবু : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন,একটা মানুষকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দেয় মাদক। মাদক শুধু একজন মানুষকে নয় একটা পরিবার,সমাজকে ধবংসের দিকেও ঠেলে দেয়। আর জঙ্গীবাদ নতুন ভাবে আভির্ভুত হয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়-এটা বিশ্বব্যাপি একটি সমস্যা। আমরা ইসলাম ধর্মের বিশ্বাসী। আর ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্মে জঙ্গিবাদের স্থান নেই।খুন খারাবি করে কেই বেহেশতে যেতে পারে না। গতকাল সোমবার দুপুরে পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ,মাদক বিরোধী সভা ও জনগণের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল বালির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চসিক আইন শৃংখলা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এইচ.এম সোহেল, কাউন্সিল হাসান মুরাদ বিপ্লব,শৈবাল দাশ,সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুন্নেসা দোভাষ বেবী, ম্যাজিস্টেট আফিয়া আকতার,জাহানারা ফেরদৌস এবং বিশিষ্ঠ রাজনীতিক এম.এ সুবুর,আবসার উদ্দিন চৌধুরী,ফজলে আজিজ,আনিসুর রহমান,এম.এ.জাহেদ,দিদারুল আলম ও কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন বক্তব্য রাখেন। সিটি মেয়র বলেন মাদক একটি ঘৃণিত অপরাধ। তাই পাপ সর্বদায় বজনীয় । কিন্ত পাপীকে বজন করা বা ঘৃণা করা ঠিক নয়। কেননা মানুষ অনেক সময় পাপ করে নানা কারনে । ইচ্ছা করে হয়ত সে তা করেনি। তাদের বুঝিয়ে বললে তখন সে পাপের জন্য অনুশোচনা করে ,অনুতপ্ত হয়। এমতাবস্থায় পাপীকে ঘৃনা করা কখনো ঠিক নয় । বরং ক্ষমা করা মহত্ব দিয়ে পাপীকে কাছে টেনে নিলে পাপীও পাপের পথ ছেড়ে সুপথে ফিরে আসবে বলে সিটি উল্লেখ করেন। এই প্রসঙ্গে সিটি আরো বলেন এই পথ ছেড়ে যারা সুপথে আসতে চায়, তাদের নিরাময়ের জন্য প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশন সবাত্মক সহয়োগিতা প্রদান করবে। তিনি বলেন আমাদের সন্তানরা কিসের লোভে জঙ্গীবাদে লিপ্ত হয়। যারা জঙ্গীবাদ-পথে গেছে তারাই কি সংবাদ পাঠিয়েছে তারা বেহেশতে গেছে? তাই এদের যারা বিভ্রান্ত করছে তাদের ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারে সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের প্রতি আহবান জানান সিটি মেয়র। তিনি বলেন আমাদের সন্তানদের জীবন অনেক মুল্যমান। তারা নিজেদের ধংসের পথে ঠেলে দেবে এটা কখনো মেনে নেয়া যায়। কারণ এই প্রজম্মের সন্তানরাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দিবে। তাই তাদেরকে মাটি ও মানুষের প্রতি মমাত্ব এবং আদর্শনীতি নিয়ে দেশ সেবার ব্রত নিয়ে নিজেরদের গড়ে তুলতে হবে।তিনি আরো বলেন মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজের রন্ধে রন্ধে টুকে পড়েছে। তাদের শিকড় অনেক গভীরে। শোনা যায় তাদের সাথে রাজনীতিক দলের অনেক নেতা-নেত্রীর সম্পর্ক আছে। তাদের আশ্রয় প্রশয়ে দিব্যি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মাদক মুক্ত সমাজ বিনিমানে প্রতিটি দলের উচিত মাদক ব্যবসায় জড়িত এবং মাদকসেবীদেরকে বয়কট,সমাজচ্যুত করা। এই লক্ষে তাঁর দল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে আছে।