spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

চীন ফেরত নাগরিকরা সবাই সুস্থ, দেশে করোনাভাইরাস নেই: আইইডিসিআর

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: করোনাভাইরাস নিয়ে দেশে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশের কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তবে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে পরিষ্কার থাকা এবং ঘরের বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে চীন থেকে যেসব বাংলাদেশি দেশে এসেছেন, তাদের রাখা হয়েছে রাজধানীর আশকোনার হজক্যাম্পে। তারা সবাই সুস্থ আছেন বলেও নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর আইইডিসিআর মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদি সেব্রিনা জানান, ২১ জানুয়ারি থেকে চীন থেকে আসা ৬ হাজার ৭৮৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ৩৯ জনের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের কারও মধ্যেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

গত ২৪ ঘণ্টায় চীন থেকে আসা ৮৩৭ যাত্রীকেও স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তাদের কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, সোমবার রাতে চীন ফেরত এক বাংলাদেশিকে হজক্যাম্প থেকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথাব্যথা ও কাশি আছে। তবে জ্বর নেই। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

আইইডিসিআর সূত্রগুলো বলছে, আশকোনা হজক্যাম্পে সবাই সুস্থ আছেন। আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বলেন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে সোমবার ভর্তি হওয়া ব্যক্তির মুখের লালা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এ ছাড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনটি পরিবারের ৮ জন ভর্তি আছেন। তাদের পর্যবেক্ষণ এখনও চলছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। এ পর্যন্ত ২৫ দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ধরা পড়েছে। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩০ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ৪৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চীনের বাইরে ফিলিপিন ও হংকংয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া বাকি ৪৮৮ জনই চীনের নাগরিক।

বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস ধরা পড়েনি। তবে পার্শ্ববর্তী ভারতেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ায সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে আইইডিসিআর। সচেতনতামূলক বার্তায় বলেছে– ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, অপরিষ্কার হাতে চোখ, মুখ, নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি হলে শিষ্টাচার পদ্ধতি মেনে চলা, অসুস্থ পশু-পাখির সংস্পর্শে না আসা, মাছ-মাংস রান্নায় সতর্ক থাকা, ঘরের বাইরে বের হলে নাক-মুখ ঢেকে বের হওয়া এবং জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত চীন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে। সূত্র:: দৈনিক যুগান্তর

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ