ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপাদত সাবধানে থাকেন, ধরা পইরেন (গ্রেফতার) না, সাবধানে থাকেন, আন্দোলন সংগ্রাম সামনে আসছে তখন যেন সেই সংগ্রামে সক্রিয় ভাবে অংশ নিতে পারেন, এই আহবান আপনাদের সবার প্রতি। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা বাকশালে বিশ্বাস করি না, যে আর কাউকে রাজনীতি করতে দেবো না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, আমরাও রাজনীতি করবো আপনিও করবেন। সমান সুযোগ থাকবে সবার। জনগণের কাছে আমরা যাবো, আপনিও যাবেন। কিন্তু আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের রাজনীতিই করতে দিতে রাজী না। আমাদের নেত্রীকে জেলে রাখবেন, নেতাকে বিদেশে থাকতে বাধ্য করবেন এবং মিটিং এর অনুমতি দিবেন প্রসক্লাবে যেনো পুলিশ দিয়ে নেতা-কর্মীদের আসা যাওয়ার পথে গ্রেফতার করতে পারেন। এটা ভালো রাজনীতি না, এটা বন্ধ করুন।
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, দেশের মানুষ গত প্রায় ১০ বছরে যেভাবে নির্যাতিত, অত্যাচারীত, বঞ্চিত হয়েছে তাতে তাদের মধ্যে একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিরাট পরিমাণের বারুদের স্তুপ কারো কোনো ক্ষতি করতে পারে না, যে পর্যন্ত না তাতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ নিক্ষেপ করা হয়। আজকে বাংলেদশের বিপুল সংখ্যক মানুষের অন্তরে বারুদের স্তুপ জমেছে, বিস্ফোরিত হওয়ার অপেক্ষায়। সেটা কখন কিভাবে বিস্ফোরিত হবে বা করা যাবে এটা সময়ই বলে দিবে। আপনারা হতাশ হবেন না, নিরাশ হবেন না। এটা মনে করার কোনো কারণ নাই যে বিএনপি দুর্বল হয়ে গেছে, আর কিছু করতে পারবে না।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মামুন ওর রশীদ শান্ত’র সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সহ সভাপতি নাজমুল হাসান, এজমল হোসেন পাইলট, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার, দেশ বাচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন।